চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী নদীবন্দরের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে চলাচলের জন্য কুঞ্জলতা নামে একটি ফেরি সংযুক্ত করা হয়েছে। আরিচা ঘাট থেকে আসা কুঞ্জলতা নামের ফেরিটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় চিলমারী নদীবন্দরে নঙ্গর করছেন।
চিলমারী নদীবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটি’র উপ-পরিচালক (সিরাজগঞ্জ) মোঃ মাহফুজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ মাসের ২০ সেপ্টেম্বর ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।
এদিকে চিলমারী নদীবন্দর থেকে রৌমারী নদীপথে ফেরি চালুর অপেক্ষার প্রহর গুনছে লাখো মানুষ। ফেরিটি চালু হলে ব্রহ্মপুত্র নদদ্বারা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা জেলা শহরের সাথে দ্রুততম যোগাযোগের আওতায় আসছে।
ফেরিটি শুক্রবার সন্ধ্যায় চিলমারী নদীবন্দরে এসে পৌঁছানোর পর চিলমারী, রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে উচ্ছাস ও আনন্দের বন্যা বইছে। ফেরিটি দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর তথ্যমতে, চিলমারী-রৌমারী নৌপথের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। তবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এই পথের দৈর্ঘ্য ১৩-১৪ কিলোমিটারে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। নাব্যতা সংকট কাটিয়ে ফেরি সার্ভিস চালু রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া থাকবে বলে আশ্বাস দেন তারা।
ফেরি সার্ভিস চালু হলে চিলমারী-রৌমারী-রাজীবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে। যাতায়াত খরচও কমে যাবে।তাছাড়া এ অঞ্চলের মানুষের ব্যবসায়িক পরিধি ক্রমশ বাড়বে বলে ধারনা করা হয়।
বিআইডব্লিউটি’র উপ-পরিচালক (সিরাজগঞ্জ) মোঃ মাহফুজার রহমান বলেন, চিলমারী ও রৌমারী ঘাটের প্রস্তুতি শেষে কুঞ্জলতা নামে একটি ফেরি চিলমারী নদীবন্দরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ মাসের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এদিন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো: জাকির হোসেন এমপি প্রমূখ উপস্থিত থাকবেন।